মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ১০টি ডাহুক পাখি শিকার করেন দুই তরুণ। এ ঘটনায় আসাবুদ্দিন (২০) ও ওয়ারিছ আলী (১৭) নামে দুজনকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।শনিবার উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফানাই নদী এলাকা থেকে ওই দুই তরুণকে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ডাহুক পাখি শিকারের জন্য স্থানীয় ফানাই নদীতে ফাঁদ পাতেন দুজন। কৌশল অবলম্বন করে তারা একে একে ১০টি ডাহুক পাখি ধরে ফেলেন। পরে শিকার করা পাখিগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় বন বিভাগের নলডরী বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান দুই তরুণ আসাবুদ্দিন ও ওয়ারিছকে আটক করেন।
এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসানকে অবগত করেন।
খবর পেয়ে মো. মেহেদী হাসান নলডরী বিট কার্যালয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসাবুদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বয়স বিবেচনায় ওয়ারিছ আলীকে জরিমানা না করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মতিনের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
পাখি শিকারি দুই তরুণ আসাবুদ্দিন ও ওয়ারিছ জানান, পাখি শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ—সেটা তারা জানতেন না।
কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বন্য প্রাণী আইনে আসাবুদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ওয়ারিছ আলীকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।