কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি অস্ত্র ও গুলিসহ ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতার সৈকত জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি ওই ছাত্রলীগ নেতার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে যুবলীগ নেতা জামালকে যে তিনজন বোরকা পরে গুলি করেছে তাদের একজন দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। তিনি বোরকা পরে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকেও গ্রেফতার করেছে।
বুধবার সকাল ১০টায় ও বেলা সাড়ে ১১টায় পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব এবং জেলা পুলিশ।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেতা জামালকে কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া বোরকা পরিহিত তিনজনের একজন হলো দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু। দেলুর বিরুদ্ধে ২টি হত্যাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে দেলুকে গ্রেফতার করা হয়৷ ঘাতক দেলু (৩১) দাউদকান্দি উপজেলার চর চারুয়া গ্রামের মৃত জাহেদ আলীর ছেলে।
অপরদিকে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে খুন করতে যে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার চান্দিনা উপজেলা সদরে অভিযান চালিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সৈকতের কাছ থেকে দুটি অত্যাধুনিক পিস্তল, একটি অত্যাধুনিক রিভালবার ও ২৪ রাউন্ড গুলি, নেকাব, একটি জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সৈকত জানান, জামাল হোসেনকে হত্যার পর ঘাতকরা অস্ত্রগুলো তার কাছে জমা রেখেছিল।