পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তাল পাকিস্তান। এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের বাসভবনে হামলা চালিয়েছে ইমরান সমর্থকরা। পুরো দেশজুড়ে পিটিআই সমর্থকরা প্রতিবাদে নেমেছে। এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২ শতাধিক মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে শত শত বিক্ষোভকারী।
গত বুধবার পিটিআইকে পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধতন একজন কর্মকর্তা বলেন, দুর্বৃত্তরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পেট্রল বোমাও নিক্ষেপ করেছে। হামলার সময় শুধু নিরাপত্তারক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এ কর্মকর্তারা। দুর্বৃত্তরা সেখানে একটি পুলিশ পোস্টেও আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর থেকেই পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ ও সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৯০০’র বেশি জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ২৯০ জনের মতো আহত হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারের কারণে উস্কে দেওয়া সহিংস বিক্ষোভ বুধবার দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করে। পুলিশ এবং পিটিআই সমর্থকরা দিনভর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল যার ফলে পুলিশ স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গভীর রাতে কেন্দ্রীয় মহাসচিব আসাদ উমরকে হেফাজতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর পিটিআই সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায় এবং রাওয়ালপিন্ডিতে জিএইচকিউ-এর একটি গেট ভেঙে ফেলার একদিন পরে এই সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা সামরিক সম্পত্তিতে হামলার পর কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে ইমরান খানের গ্রেপ্তার নাটকীয়ভাবে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।