সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে অজ্ঞান হয়ে এক নারীসহ ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১০ মে) জেলার তিনটি উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজীব চক্রবর্তী ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, জেলার ছাতকের জাউয়া বাজার ইউনিয়নের সাদারাই গ্রামের মঞ্জুর আহমদ (৪০), একই উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিংচাপইড় গ্রামের হাসনাত মিয়া (৪৫), দোয়ারা বাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের জলসি গ্রামের তাজির উদ্দিন (৬৫) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগা পাশা ইউনিয়নের দরগা পাশা গ্রামের রাফিয়া বেগম (৬০)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঞ্জুর আহমদ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই হাওরে ধান কাটছিলেন। ধান কাটা অবস্থায়ই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পাশে থাকা সহযোগীরা তাকে কৈতক হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাজির উদ্দিনের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। হাওরে ক্ষেতের কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইভাবে হাসনাত মিয়াও গরমের মধ্যেই ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে বাড়িতে এসে শরীর খারাপ লাগার কথা বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
এসময় পরিবারের লোকজন তাকে কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাকি তিনজনের মতো রাফিয়া বেগমও তাপদাহের মধ্যে বাইরে কাজ করছিলেন। খলায় ধান শুকানোর কাজ করার সময় হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি।
এসময় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।
কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আইনুর নাহার শান্তা জানান, “বুধবার ছাতকের সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমেদ স্কুল এন্ড কলেজের ষষ্ঠ, অষ্টম ও একাদশ শ্রেণির তিনজন ছাত্রী প্রচণ্ড গরমে ক্লাস অজ্ঞান হয়ে পড়ায় তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।”
সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শোকদেব সাহা জানান, “সুনামগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই। তবে চারজনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকেই হয়েছে কি না সেটা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
13
Shares
facebook sharing button 13whatsapp sharing buttonmessenger sharing buttonsharethis sharing buttontwitter sharing button