ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) একটি ডিভিশন বেঞ্চ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন দিয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আদালতে হাজির হলে তার এই জামিন মঞ্জুর করা হয়। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) শুক্রবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তাকে ১৫ দিনের জামিন দেয় বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।
বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তর অবৈধ ঘোষণা করে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজ আইএইচসির দুই নম্বর কোর্টরুমে পিটিআই প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে তারা ১৫ দিনের সুরক্ষা জামিন মঞ্জুর করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, ইমরানের আইনজীবীরা আরও চারটি অতিরিক্ত আবেদন পেশ করেছিলেন। এগুলোতে আবেদন জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা একত্রিত করা এবং অভিযোগগুলোর বিস্তারিত জানানোর জন্য।
নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা বিলম্বে জামিন শুনানি শুরু হয়। কোর্টরুমের বাইরে নিরাপত্তা তল্লাশীর চালানোর কারণে এই দেরি হয়। কিন্তু শুনানি শুরুর পর জুমার নামাজের জন্য আবার বিরতি দেওয়া হয়। বিচারপতিরা আসন ছাড়ার সময় ইমরানের পক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়।
পরে আড়াইটার দিকে আবার শুনানি শুরু হলে আইনজীবীদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান। তার পক্ষে আইনজীবী খাজা হারিস যুক্তিতর্কে অংশ নেন।
আদালত ইমরানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর প্রসিকিউটর ও তার আইনজীবীকে পরবর্তী শুনানির প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই শুনানিতে জামিনের মেয়াদ বাতিল বা বাড়ানো হবে কিনা তা সম্পর্কে বিচারপতিরা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তায় সকাল ১১টায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার এই আদালতের প্রাঙ্গণ থেকেই আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের গ্রেফতারকে বৈধতা দেয়। বুধবার তাকে একটি বিশেষ আদালতে হাজির করার পর দুর্নীতি দমন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর হাতে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
তাকে গ্রেপ্তার পর পর সারা দেশে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে প্রায় এক ডজন লোক নিহত হয়। পরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত এই গ্রেফতারকে অবৈধ বলে ঘোষণা দেয় প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ। ইমরানকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে তাকে পুলিশ লাইন্সের গেস্ট হাউজে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।