সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদের প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়। মেয়র আরিফুলের অভিযোগ, তাকে কোনো আগাম নোটিশ না দিয়েই আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এজন্যে তার নিরাপত্তাজনিত কোন সংকট দেখা দিলে সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে আনসার ও ভিডিপি কর্তৃপক্ষ বলছে, বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে ২৩ জন আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য দিন ও রাতে পালাক্রমে মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মেয়রের বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছিলেন এই আনসার সদস্যরা।
মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘আমার নিরাপত্তায় গানম্যান না দেওয়ায় সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ নীতিমালা মেনে নির্দিষ্ট মাসোহারার বিনিময়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের মাধ্যমে সিটি কর্তৃপক্ষ আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর থেকে এই পাঁচজন আনসার সদস্য আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। আগাম কোনো নোটিশ না দিয়ে, কোনো কারণ জানানো ছাড়াই আজ (মঙ্গলবার) রাতে আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মেয়র আরিফুল বলেন, ‘এখন আমার যদি নিরাপত্তা–সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয় তাহলে এর জন্য অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারই দায়ী থাকবে।’
এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি জানান, ‘পাঁচ বছর আগে নগর কর্তৃপক্ষ নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। এর মধ্যে পাঁচজন আনসার সদস্য মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও তার বাসভবনে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, মেয়রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচজন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন এসব আনসার সদস্য শুধু নগর ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নগর ভবনে কাজ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। নগর ভবনে নিরাপত্তা দিতে তারা কাজ করবেন, তবে কারও কোনো ব্যক্তিগত কাজ করবেন না।