কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানিতে ইউক্রেনের সঙ্গে গত বছর যে চুক্তি হয়েছিল, রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানিতে বাধা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি না হলে ১৭ জুলাইয়ের পর তাতে ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছে মস্কো।
জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত বছরের জুলাইয়ে ওই চুক্তি হয়েছিল, যার ফলে যুদ্ধের মধ্যেও কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছে।
মার্চ থেকেই রাশিয়া দাবি না মানলে চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দিয়ে আসছিল, এর পরও তারা দিনকয়েক আগে চুক্তিটি ফের তিন মাসের জন্য অনুমোদন করে। খবর রয়টার্সের।
এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে জুলাইয়ের পর আর চুক্তিটি অনুমোদন করা হবে না বলে বৃহস্পতিবার তারা ফের হুমকি দিয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে নাসরিক অভিযান শুরুর পর বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য সরবরাহের চেইন গভীর সংকটে পড়ে, কৃষ্ণসাগর দিয়ে রপ্তানির এই চুক্তি সেই সংকট খানিকটা প্রশমনে ভূমিকা রেখেছে।
চুক্তিটি বলবৎ রাখতে মস্কো এ বছরের মার্চ থেকেই দুটো শর্তের কথা জোরেশোরে বলছে। এগুলো হচ্ছে— পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর পিভদেনিতে অ্যামোনিয়া সরবরাহ পুনরায় শুরু এবং রাশিয়ার কৃষি ব্যাংক রোসেলখোজ ব্যাংককে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত আন্তঃব্যাংক লেনদেনের প্ল্যাটফরম সুইফটের সঙ্গে ফের সংযুক্ত করা।
রাশিয়া চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে ইউক্রেনের হাতে স্থলপথে ইউরোপ দিয়ে রপ্তানির পথ খোলা আছে, কিন্তু তাতে খরচ বেশি পড়বে এবং বিশ্ববাজারে দামেও প্রভাব পড়বে।