মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালায় যা আছে
প্রথম পাতা »
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন »
মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালায় যা আছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে- বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯.৯০ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, টাকা জমা-উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ মিলে গত জুলাইয়ে (সর্বশেষ) মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকা, এর আগের মাসে ছিল ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এই খাতে নিবন্ধিত গ্রাহক ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং নারী ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দেশে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২। একজন গ্রাহক তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের কোনো একটি নম্বর থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে পাঠাতে পারেন। মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন করতে পারেন দুই লাখ টাকা। তবে এজেন্ট নম্বরের ক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।
বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম সেবাটি চালু করে। তাদের এই সেবার নাম ‘রকেট’। পরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বিকাশ’ এই সেবা চালু করে। ২০১৯ সালের মার্চে ‘নগদ’ নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে সরকারের ডাক বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০২:৫৮ ●
২২৮ বার পঠিত