নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন স্থানীয় সরকার বিভাগ(এলজিইডি) শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড,গণপূর্ত বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সধারী ঠিকাদার মেসাস চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আতাউরের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ই-টেন্ডারবাজীর সিন্ডিকেট। ই-টেন্ডাররের লটারীতে অংশ গ্রহণ করতে অন্যান্য ঠিকাদার সিডিউল কিনেন। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি), শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সধারী ঠিকাদার। এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে যখন উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তখন নিয়ম অনুযায়ি যেসব ঠিকাদার টেন্ডার সিডিউইল ক্রয় করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেন। সেসব টেন্ডার দাতা প্রতিষ্ঠান লটারীরর মাধ্যমে যে বা যারা কাজ পান তাদেরকে কাজ সমজিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারি প্রকৌশলীসহ লটারী তৈরির কাজে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার আতাউরের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ই-লটারী সিন্ডিকেট। কম্পিউটারে যখন লটারী পরিচালনা করা হয়। তখন এমন একটি ভঙ্গিমায় লটারীর কাটা ঘুরানো হয় সেখানে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে আতাউরের চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের নামে অথবা তার ব্যবসায়ীক পাটনারের প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডার ড্রপ হয়। অর্থাৎ টার্গেট অনুযায়ী ঘুরানো লটারীরর কাটা সেখানে গিয়ে থেমে যায়। এভাবে বিশেষ প্রক্রিয়ায় একাধীক কাজ পেয়ে থাকেন ঠিকাদার আদাউরের নেতৃত্বে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট। এতে করে অন্যান্য ঠিকাদাররা বছরের পর বছর সরখ নিয়ম মেনে ই-টেন্ডারে অংশ করেও নায্য কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এদিকে বিগত ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ও তার ব্যবসায়ীক পাটনার শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের স্কুল, এলজিইডির রাস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত কয়েক কোটি টাকার কাজ ভাগিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের পরিচয় গোপনা রেখে এলজিইডি ও শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের একাধীক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারের সঙ্গে লটারী পরিচালনাকারি প্রকৌশলীর সম্পর্ক থাকলে লটারীতে ওই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া কোন বিষয় নয়। প্রকৌশলী বলেন লটারী আমরা এমন ভাবে পরিচালনা করবো যাতে ওই ঠিকাদারের বা প্রতিষ্টানের নামের ঘরে গিয়ে কাটা থামবে। এবং সে কাজ পেয়ে যাবে। ঠিকাদার আতাউরর এর সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে যানতে চাইলে এলজিইডি ও শিক্ষা প্রকৌশলের উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন কোন অসৎ কর্মকর্তারার দ্বারা এটি সম্ভব। তবে তার অফিসে এরকম কিছু হয়ে থাকলে এই চক্রের বিরুদ্ধে জরিত ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিলসহ ওই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা করা হবে এমনকি এমন জগণ্য ঘটনার সঙ্গে জরিত আছেন এরকম প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে চাকুরী চ্যুত করার মত শান্তি ভোগ করতে হবে।——— ২য় কিস্তি