সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর ইন্তেকাল
প্রথম পাতা »
অনিয়ম-দুর্নীতি »
সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর ইন্তেকাল
বুধবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শোক সংবাদ
( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন) সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি ছাত্র জীবণে জাসদের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। পরে জাতীয়পার্টি ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন।
তিনি আজ বুধবার ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন।
জনাব এবাদুর রহমান চৌধুরী আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ যিনি মৌলভীবাজার-১(বড়লেখা-জুড়ী) আসনে জাতীয়পার্টি ও বিএনপির মনোনয়নে একধীক বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদস্য ছিলেন। পরে তিনি ঢাকায় স্থায়ী হলে ঢাকার আদালত ও উচ্চ আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি চৌধুরী এন্ড হায়দার নামীয় ল’ ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন স্বজ্জন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করছি।
উনার নাতি মুনজের আহমদ চৌধুরীর পোষ্ট থেকে সংযুক্ত নিচের অংশটি
এবাদুর রহমান চৌধুরী; রাজনীতির নায়কের বিদায়
এবাদুর রহমান চৌধুরী। লিলিপুটের গড় বিবেকের উচ্চতার দেশে ছ’ফুট উচ্চতার মানুুষটিকে দেশবাসী জানতেন একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে।
আশির দশকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জনদূত সম্পাদক। একজন কবি। সিলেট বিভাগ আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। কমলগঞ্জে সমাজপতিদের ছুড়ে মারা পাথরে খুন হওয়া উনিশ শতকের আলোচিত নুরজাহান হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী এই অসাম্প্রদায়িক মানুষটি।
সুপ্রীম কোর্টের বরেন্য আইনজীবি হিসেবে বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারও চাপা পড়ে গেছে রাজনীতির অর্জনে। নৌকার দুর্গ বড়লেখা থেকে চার বার নৌকার বিরুদ্ধে লড়ে এমপি হবার রেকর্ড শুধু আপনারই। আশির দশকে মন্ত্রীর মর্যাদায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০১ এ মন্ত্রীসভায় নিজ যোগ্যতায় জায়গা করেছিলেন। ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থানে ঢাকার রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকেঁ বাদ দিয়ে দিয়ে কখনো বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতির ইতিহাস লেখা যাবে না। ব্যাক্তিজীবনে যিনি একজন রুচিবান, সৎ ও নির্লোভ মানুষ। নন্দিত বক্তা।
দল-মতের উর্দ্ধে বড়লেখা-জুড়ীবাসীর পরম শ্রদ্ধার জায়গাটুকু আপনার অবর্তমানে বহুকাল শুন্যই থাকবে। আপনি থাকবেন লাখো মানুষের অন্তরে ভালবাসায়। আপনার প্রতি এ ভালবাসা বড়লেখা-জুড়ীবাসীর একজন দ্যর্থহীন অভিভাবকের প্রতি, আবেগের,মমত্বের জায়গা থেকে। হাকালুকিপারে উন্নয়নের রাজনীতি, শিক্ষা বিস্তারে আপনার ঐকান্তিক প্রয়াস বহুকাল খুব সাধারন মানুষের বুকের ঘরে ভালবাসার অক্ষরে লেখা রবে।
সব মানুষ একটা সময় বিদায় নেন। কিন্তু, লাখো মানুষের অন্তরের ভালবাসার অশ্রুজয়ী বিদায়ের সৌভাগ্য খুব কম মানুষের হয়।
মানুষটা দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বাইরে দাড়িয়ে ষাট বছর রাজনীতি করেছেন। কোনকালে তার বিরুদ্ধে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। রাজনীতি করে সম্পদ কেবল বিক্রি করেছেন। শশুরবাড়ী থেকে তাঁর স্ত্রীর পাওয়া মৌলভীবাজার শহরের সমশেরনগর রোডের বাসাটি ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় বিক্রি করতে হয় তাঁকে। আজ মৃত্যুর সময় চার সন্তানের জন্য নিজের থাকার ফ্লাটটি ছাড়া কোথাও কোন সম্পদ রেখে যান নি। তার চিকিৎসা চলত তার কন্যার চাকুরীর বেতনের টাকায়।
আল্লাহপাক আপনাকে জান্নাতবাসী করুন,আপনার চার কন্যাকে এই শোক কাটিয়ে উঠবার সামর্থ্য দিন।
আব্বার পর আপনার মৃত্যুতে আজ আমি,আমরা আমাদের মাথার উপরে বেঁচে থাকা ছায়া,দ্যার্থহীন অভিভাবককে হারালাম। আমৃত্যু আপনার ভালবাসার কাছে ঋণী থাকবো নানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৫১ ●
৫২৯ বার পঠিত